আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিক্রি করেছে

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিক্রি করেছে। দেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত সফল হবে না। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ তা রুখে দেবে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় ছাত্রদল নেতা শহীদ সুজনের স্মরণে বিশাল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। অথচ এই সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিক্রি করেছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অন্যদের কাছে বিক্রি করতে চেয়েছে। আমরা তাদের বলতে চাই, দেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো চক্রান্ত চলবে না। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে আমরা দেব না। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ তা রুখে দেবে। সেজন্য দেশে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে, যেন মানুষের গণতন্ত্র ও অধিকার ফিরে আসে।

তিনি আরো বলেন, নাটোরে শত শত বছর ধরে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ভাইবোনেরা একত্রে বসবাস করে আসছেন। যখন কোনো দুর্যোগ বা সংকট এসেছে, আমরা মুসলমানরা হিন্দু ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে, এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, নতুন প্রজন্ম নাটোরে দুলুর শাসন দেখেনি। আমি এই নাটোরকে শান্তির শহরে পরিণত করেছিলাম। আগামী দিনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় এলে শান্তির নাটোর বানাব। বিএনপি ক্ষমতায় এলে একমাসের মধ্যে নাটোরে গ্যাসের ব্যবস্থা করে দেব। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি ধ্বংস করে একটি শান্তিময় নাটোর গঠন করব। এই শান্তির শহরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হত্যা ও হামলা করে রক্তের শহর বানিয়েছে। এসব সন্ত্রাসীর বিচার নাটোরের মাটিতেই হবে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নাটোরকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের শহরে পরিণত করেছিল। সাধারণ অটোরিকশা ও সিএনজিচালকরা চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ থাকত। এখন নাটোরের সাধারণ ব্যবসায়ী ও শ্রমিক ভাইদের কোনো চাঁদা দিতে হয় না। তবে যদি বিএনপির নাম ভাঙিয়ে নাটোরে কেউ চাঁদাবাজি করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি এ অপরাধের সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই নাটোরে আর কোনো চাঁদাবাজদের স্থান নেই।

স্মরণসভায় নাটোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, জেলা বিএনপির নেতা ও সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল ব্যাপারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *