আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা এবং ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শাখা ছাত্রদলের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী আদনান করিম বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা করে তছনছ করে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকেরা। যা ভিয়েনা কনভেনশনের ‘ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স’ ১৯৬১ স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছে। এই হামলার মাধ্যমে ভারত প্রমাণ করেছে, তারা কতটা সভ্য জাতি? আমরা চাই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হবে সমানে সমান, কোনো নতজানু কূটনীতি নয়।
একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত ভারতের কোনো আধিপত্য মেনে নেয়া হবে না। এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা ৩০ লাখ শহিদের রক্তের দেশ, এটা ২০২৪ এর অভ্যুত্থানে হাজারও শহিদের রক্তে রঞ্জিত নতুন বাংলাদেশ।
এসময় ৪৬ ব্যাচের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জাকিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, যেখানে লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাই, আগ্রাসনের যেকোনো প্রয়াস রুখে দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের এই প্রতিবাদ শুধু কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এই বিষয়টি পরিষ্কার করতে চায় যে, আমরা প্রয়োজনে যেকোনো মূল্যে আমাদের দেশের মর্যাদা রক্ষা করতে প্রস্তুত।
তিনি আরো বলেন, এই বিক্ষোভ মিছিল শুধু একটি প্রতীক নয়, এটি একটি শপথ। আমরা শপথ করছি যে, আমাদের দেশের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সাহান ভুঁইয়া, শামসুজ্জামান সায়েম, সাদিকুর রহমান, মোহাম্মদ ওয়াকিল হোসেন, একরামুল হক, মমিনুর রহমান, শামীম, আরেফিন মুন্নাফ ও আবিদুর রহমান প্রমুখ।