পরিবেশ অধিদপ্তর শরীয়তপুরের জব্দ করা ৯ হাজার ২৮৭ কেজি পলিথিন কেটে ব্যবহারের অনুপযোগী করে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। ব্যবহার অনুপযোগী পলিথিনগুলো রিসাইকেল করে তৈরি করা হবে প্লাস্টিক পণ্য
গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তর শরীয়তপুরের সহকারী পরিচালক মো. রাসেল নোমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর শরীয়তপুর সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যক্রম শুরু করে ২০২২ সালে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্থানীয় বাজার ও গোডাউন থেকে ৯ হাজার ২৮৭ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। গত ২ অক্টোবর সমন্বিতভাবে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুরের জব্দকৃত পলিথিনগুলো নিলামের মাধ্যমে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে পরিবেশ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরের জব্দকৃত পলিথিনগুলো কেটে ব্যবহারের অনুপযোগী করে রিসাইকেলের জন্য প্রস্তুত করা হয়। ব্যবহার অনুপযোগী পলিথিনগুলো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিসাইকেলের জন্য নিয়ে যায়।
পরিবেশ অধিদপ্তর শরীয়তপুরের সহকারী পরিচালক মো. রাসেল নোমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, পলিথিন পরিবেশের শত্রু। ২০২২ সাল থেকে শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৯ হাজার ২৮৭ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করার পর এগুলো আমরা রিসাইকেলের জন্য মজুদ করি। তারই ধারাবাহিকতায় পরিবেশ অধিদপ্তর ফরিদপুরের আঞ্চলিক শাখা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার জব্দকৃত পলিথিন নিলাম করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬০ টাকা কেজি দরে পলিথিনগুলো কিনে নিয়েছেন। ব্যবহারের অনুপযোগী পলিথিনগুলো রিসাইকেল করবেন তারা। পরিবেশ ধ্বংসকারী পলিথিনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে