“সরকারি চাকরিজীবীকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে নাহলে নিম্নোক্ত শাস্তি হবে”

দেশে কর্মরত সাড়ে ১৫ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত ০১ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সরকারি কর্মচারীদের  দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ (৩০/১২/২০০২ তারিখের সংশোধনীসহ)-এর বিবি-৬৩ অনুযায়ী সকল সরকারি কর্মচারীর জন্য সম্পদ-বিবরণী দাখিল করা আবশ্যক।

যে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে:
(ক) ক্যাডার বা নন-ক্যাডার (নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেড) কর্মকর্তা তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের নিকট সম্পদ-বিবরণী দাখিল করবেন।

(খ) গেজেটেড বা নন-গেজেটেড কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ (১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড) নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের সম্পদ-বিবরণী দাখিল করবেন।

* জমা প্রদান প্রক্রিয়াঃ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত নির্ধারিত ছকে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে হবে। ছকটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে। পরে সম্পদ-বিবরণীটি সিলগালাকৃত খামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে হবে।

* সম্পদ-বিবরণী প্রদানের সময়সীমাঃ
সব সরকারি কর্মচারীকে প্রতি অর্থবছরের সম্পদ-বিবরণী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ক্ষেত্রে সম্পদ-বিবরণী আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে।

সম্পদ-বিবরণী দাখিল না করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাঃ
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা কোনো ভুল তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে বা সম্পদের কোনোরূপ অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রযোজ্যতাঃ

এই অনুশাসনমালা সব সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

গোপনীয়তা সংরক্ষণঃ
(ক) আদালতের আদেশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত সম্পদ-বিবরণীর তথ্য সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ হস্তান্তরযোগ্য নয়।

(খ) সম্পদ-বিবরণী অতি গোপনীয় দলিল বিধায় এক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ প্রযোজ্য হবে না।

পরিবর্তন ও পরিমার্জনঃ
প্রয়োজনের নিরিখে এই নিয়মাবলি সরকার সময়ে সময়ে পরিবর্তন ও পরিমার্জনের এখতিয়ার সংরক্ষণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *