শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ লাইন্সের মূল গেটের সামনে বাদ পড়া অন্তত ৩০-৪০ জন আবেদনকারী বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।
বাদ পড়া প্রার্থীদের কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের লাইভে এসে অভিযোগ করেন, দালালের মাধ্যমে আর্থিক চুক্তিতে অযোগ্য ঘোষিত প্রার্থীদের ডেকে নিয়ে যোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে যোগ্য প্রার্থীরা বাদ পড়েছেন। প্রতিবাদে আবেদনকারীরা পুলিশ লাইন্সের সামনের রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইনের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। দৌড়ে ২০০ মিটারের পরিবর্তে ৩০০ মিটার করানোর অভিযোগও তুলেছেন তারা।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়। শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম চলছে। আজ অকৃতকার্যদের একটি অংশ হঠাৎ বাইরে এসে চিল্লাচিল্লি শুরু করে। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে ছুটে যাই। এখানে অযোগ্য ঘোষিত প্রার্থীদের ডেকে নেওয়া হয়নি। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছি একটি পক্ষ তাদের উসকে দিয়েছে।
তিনি বলেন, নাটোরে ৫০ জন লোক নিয়োগ হবে, যেখানে আবেদন করেছেন ৪ হাজার ৪০৭ জন।
এ বিষয়ে রাজশাহী রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আলমগীর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে নাটোরের পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়েছেন। পুলিশ নিয়োগে কোনো অনিয়ম করার কোনো সুযোগ নেই। শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
নাটোর জেলার ৫০ জন বাসিন্দাকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে। এজন্য কয়েক হাজার আবেদন পড়েছে। শনিবার ছিল যাচাই-বাছাইয়ের দ্বিতীয় দিন।