জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ দলের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ২ নভেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় দলটি। জাপার এমন কর্মসূচির কিছুক্ষণ পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল মানুষ।
এরপর শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ওই কার্যালয়ের সামনেই শনিবার সমাবেশের কর্মসূচি হবে। কিন্তু ওই সমাবেশ ‘করতে দেওয়া হবে না বলে’ হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। দুই পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সমর্থন দিলেও আওয়ামী সরকার পতনের পর দলটি তার অতীতের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে হোঁচট খাচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানসহ পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার তিনটি সংলাপে ডাক পায় জাতীয় পার্টি। এরপর গত ৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব। এরপর গত ১৯ অক্টোবরের চতুর্থ দফার সংলাপে ডাক পায়নি দলটি।
এদিকে গত ১৪ অক্টোবর সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জাতীয় সংলাপ থেকে জাতীয় পার্টিকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানানোর পর জাপা তাদের রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
এরপর ২৬ অক্টোবর হাসনাত আবদুল্লাহ রংপুরে যাওয়ার খবরে দুপুরে রংপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে জাপা নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল করেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেন দলের কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান