জাবিতে শিবির বিরোধী মিছিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের তিন নেতার প্রকাশ্যে আসার পর মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। সেই বিক্ষোভ মিছিলকারীদের স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিরোধিতায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভকে তারা স্বাগত জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সব রাজনৈতিক সংগঠনের সহাবস্থানে বিশ্বাসী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্রিয় সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।

জাবিতে শিবিরের আত্মপ্রকাশ, প্রতিবাদে মধ্যরাতে বিক্ষোভ
নোয়াখালীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের কেউ জড়িত নয়
এদিকে, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিলটি শুরু করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে বক্তৃতা দেন ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায়। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান- এই দুটি অধ্যায়কে যারা অস্বীকার করবে, তাদের জনগণ কখনোই ক্ষমা করবে না। শিবির যে প্রেস রিলিজ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে, সেখানে তারা মিথ্যাচার করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা কবে মিছিল করে? গত ১৫ জুলাই রাতে মেয়েরা মিছিল করেছিলো যখন ছাত্রলীগ তাদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। একইভাবে, মেয়েরা শিবিরের বিরুদ্ধেও মিছিল করেছিল, শিবিরকে ক্যাম্পাস থেকে তাড়ানোর জন্য।

‌‘ছাত্রশিবিরকে কখনোই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বা শ্রমিক হত্যার বিরুদ্ধে আন্দোলনে দেখা যায়নি। তারা সবসময় শাহবাগ ও শাপলা চত্বরের বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে, যা আওয়ামী লীগেরও রাজনৈতিক কৌশল। যে সংগঠনের হাতে রক্তের দাগ আছে, তাদের রাজনীতি করতে হলে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসতে হবে। এটি সামাজিক বিচার কিংবা আইনি বিচার হতে পারে। এজন্য তাদের ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়ে ক্যাম্পাসে আসতে হবে।’

প্রসঙ্গত, জাকসু সচলসহ ক্যাম্পাসে সব দলের অংশগ্রহণে সুস্থধারার রাজনীতির দাবি জানিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রশিবির। এতে প্রায় ৩৫ বছর পর জাবিতে ফের প্রকাশ্যে এল সংগঠনটি। সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে রাজনীতি করেছে ছাত্রশিবির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *