আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে লড়াকু পুঁজির পর বল হাতেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে ৬৮ রানের জয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে টাইগাররা।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৫২ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৪৩.৩ ওভারে ১৮৪ রানে গুটিয়ে গেছে আফগানিস্তান। ২৯ বছরের মাঝে এই প্রথম শারজাহতে ওয়ানডে জিতেছে টাইগাররা।
আফগানিস্তানের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সিদিকুল্লাহ আতাল। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে সৌম্য সরকারের তালুবন্দী হন গুরবাজ। এর আগে ২ রান করেন তিনি।
শুরুতে উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে শক্ত প্রতিরোধ গড়েন আতাল ও রহমত শাহ। দুজনের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটিতে ক্রমেই ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। এমন সময়ে ত্রাতা হয়ে আসেন নাসুম।
আক্রমণে এসে নিজের প্রথম ডেলিভারিতেই আতালকে ফেরান নাসুম। মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৩৯ রান করেন এ ওপেনার। তৃতীয় উইকেটে রহমতের সঙ্গে ৪৮ রান যোগ করেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি।
মুস্তাফিজকে পুল করতে গিয়ে ১৭ রানে আউট হন শাহিদি। এরপর ১ রান যোগ করতেই আরো ২ উইকেট হারায় তারা। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে রানের খাতা খুলতে দেননি নাসুম। একই ওভারে ৫২ রান করা রহমতকে রান আউট করেন এ স্পিনার।
ষষ্ঠ উইকেটে ফের প্রতিরোধ গড়েন মোহাম্মদ নবী ও গুলবাদিন নাইব। ২ রানের ব্যবধানে দুজনকে ফেরান শরিফুল ও মিরাজ। প্রথমে ২৬ রান করা নাইবকে ফিরিয়ে ৪৪ রানে জুটি ভাঙেন শরিফুল। পরের ওভারে নবীকে আউট করেন মিরাজ।
শেষদিকে রশিদ বা আর কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার নাসুম। এছাড়া মিরাজ ও মুস্তাফিজুর দুটি এবং শরিফুল ও তাসকিন একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে আজ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন তামিম। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি।
এএম গজনফরকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৭ বলে ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে ৭১ রানের জুটি গড়েন সৌম্য ও শান্ত। ৩৫ রানে সৌম্য ফিরলে এ জুটি ভাঙে। চারে নেমে ২২ রান করেন মেহেদী মিরাজ।
এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে আরো ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তাওহীদ হৃদয় ১১ রানে সাজঘরে ফেরার পর একই ওভারে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শান্ত। এ দুজনকেই ফেরান নাঙ্গেয়ালিয়া খারোটে। রিয়াদ ৩ রান করেন।
একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকা শান্ত ৭৬ রানে আউট হন। ১৮৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে এ সময় বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে নাসুম আহমেদ ও জাকের আলীর ৪৬ রানের জুটিতে সেই চাপ দূর হয়।
২৫ রানের ক্যামিও খেলে আউট হন নাসুম। শেষদিকে ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অভিষিক্ত জাকের আলী অনিক। আফগানিস্তানের হয়ে খারোটে তিনটি এবং রশিদ ও গজনফর দুটি করে উইকেট শিকার